,

হিন্দু ছাত্রীকে বিয়ে করায়, প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে মানববন্ধন

মেহেদি মারুফ,সাতক্ষীরা থেকেঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ কতৃক সদ্য বিদ্যালয় ছেড়ে কলেজ পড়ুয়া এক কন্যা সমতুল্য হিন্দু ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করায় প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে অবিভাবক মহল ও এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে। শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অরুন মূখার্জী, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, সমাজ সেবক হাবিবুল আলম, সমাজ সেবক ডি এম মঈনুদ্দিন লাভলু, নবীন সংঘের সভাপতি এস এম সাইফুল্যাহ আল মামুন, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন, ভুক্তোভোগী কন্যার পিতা সন্যাসী অধিকারী সহ শত শত অবিভাবকদৃন্দ। অন্যদিকে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবিভাবকবৃন্দের পক্ষ থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ তদন্ত টিম ১১টায় বিদ্যালয়ে তদন্তকার্য পরিচালনা করছিলেন। উলেখ্য, অত্র উপজেলার দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের মৃত মোঃ আলী হাসানের ছোট ছেলে শামীম আহমেদ(৪৫) কয়েক মাস আগে নিজ বিদ্যালয় থেকে সবেমাত্র কলেজে উঠা নুরনগর গ্রামের সন্যাসী অধিকারীর মেয়ে তনুশ্রী অধিকারী (১৬)কে সবার অলক্ষে নিয়ে পালিয়ে যায়। তনুশ্রীর পরিবারের সদস্যরা লোক লজ্জার ভয়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাব্যাপী চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিভাবকরা বক্তব্যে বলেন নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাধীক ছাত্রী বিবাহের জনক শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকজন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পরে, একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বিয়ের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানায়, পূর্বের সব ঘটনা ধামাচাপার পরে আবারও অপ্রাপ্ত বয়সের ছাত্রী বিয়ের কান্ডে আলোচনায় আসে শামীম। তবে এবার সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করায় অভিভাবক মহল ক্ষিপ্ত। ঘটনাটি ঘটার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মান্তরিত ও বিবাহের এ্যাফিডেভিটের কপি ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাৎক্ষণীক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কন্যার পিতার করা মামলায় শামীম পুলিশের হাতে আটক হয়ে কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আসে। হিন্দু ধর্মের একটি অপ্রাপ্তবয়সের মেয়েকে পড়ানোর নামে একজন চরিত্রহীন শিক্ষক তার পরিবারের ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এভাবে বার বার প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে এহেন কান্ড ঘটাচ্ছে। অবিভাবক সহ সকল ছাত্র ছাত্রীরা নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চরিত্রহীন শিক্ষক শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। এমন নারীলোভী শিক্ষক সমাজের উচ্ছিষ্ট দাবী করার সাথে সাথে অভিভাবকবৃন্দ বলেন আমার আপনার ছোট বোন, কন্যা সন্তান ও শিকার হতে পারে এই নারীলোভী শিক্ষক শামীমের ভয়াল থাবায়, আসুন সবাই এক হই বিদ্যালয় কে রক্ষা করি। নিজের ঘরের মেয়েরা যেনো নির্বিগ্নে স্কুলে পড়াশুনা করতে পারে সেই পরিবেশ গড়ে তুলি। ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক সবাই এক হয়ে স্কুলকে রক্ষার জন্য চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদের স্থায়ী বহিষ্কার সহ উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। অন্যদিকে এ বিষয়ে নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যার ফলে শিক্ষক শামীমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ উক্ত অভিযোগের তদন্ত কার্য সম্পর্ন করে উর্দ্ধতণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন বলে জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা এম এ মজিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *